- ফারহান দেখতে খারাপ না।
হাইট ঠিক আছে, পোশাকও মাঝারি।
কিন্তু মুখে ব্রণ, গায়ে ঘামের গন্ধ, আর মুখ ধোয়ার কোনো বালাই নেই।
বাসে দাঁড়ালে মানুষ পাশে দাঁড়াতে চায় না।
বন্ধুরা পাশে বসেও বলে—“ভাই, তোর গায়ে কিছু একটা গন্ধ আসে…”
ফারহান লজ্জায় চুপ করে থাকে।
বলে, “গরম তো!”
কিন্তু বাস্তব হলো—সে নিজের শরীরের যত্ন নেয় না।
সত্য কথা শুনুন
ব্রণ থাকা পাপ নয়।
দাগ থাকা অপরাধ নয়।
ঘাম হওয়া স্বাভাবিক।
কিন্তু আপনি যদি দিনের পর দিন মুখে ব্রণ নিয়ে ঘুরে বেড়ান,
চেহারায় দাগ জমতে দেন,
গন্ধ নিয়ে আশেপাশের মানুষকে কষ্ট দেন—
তাহলে আপনি শুধু অন্যকে নয়, নিজেকেও অপমান করছেন।
অনেক ছেলেই আজকাল গুগল করে:
- “ছেলেদের ব্রণের চিকিৎসা”
- “স্কিন ফর্সা করার উপায়”
- “ছেলেদের স্কিন কেয়ার রুটিন”
- “মুখের দাগ দূর করার উপায়”
- “ছেলেদের পারফিউম”
আপনি হয়তো এই লেখায় গুগল থেকেই এসেছেন।
আপনাকে বলছি—প্রোডাক্টের চেয়ে আগে দরকার সচেতনতা।
আপনি ব্রণ তুলেন হাত দিয়ে?
রোদে বের হন মুখে কিছু না লাগিয়ে?
ঘুমান মোবাইল হাতে নিয়ে রাত ২টায়?
পানি খান দিনে ২ গ্লাস?
তাহলে আপনি যা দেখছেন আয়নায়, সেটা স্বাভাবিক।
আয়না কিছু লুকায় না। আপনি মুখে যা করছেন, আয়নায় তারই প্রতিফলন।
মুখের ব্রণ = ভিতরের সমস্যা
ঘামের গন্ধ = অযত্ন, অপরিষ্কার জামা
রুক্ষতা = পানি কম, ঘুম কম, অস্থির জীবন
এগুলো কেউ বলবে না।
বলবে শুধু আয়না।
আর এখন বলছি আমি—
আপনার নিজের মুখ আর শরীরের দায়িত্ব আপনি না নিলে, সেটা আর কেউ নেবে না।
আপনি যদি নিজের মুখ নিয়ে লজ্জা পান,
নিজের চেহারায় দাগ দেখে আয়না এড়িয়ে চলেন,
তাহলে বুঝে নিন—সমস্যা আপনার মুখে না, সমস্যাটা আপনার যত্নহীনতায়।
নিজেকে একটু ভালোবাসেন
- দিনে ২ বার শুধু মুখ ধুয়ে ফেলার অভ্যাস আনুন
- মুখে হাত না দেওয়া, রাতে ঘুম ঠিক রাখা
- ঘামের গন্ধ দূর করার জন্য পরিষ্কার জামা
- ব্রণ তুলবেন না, বরং কারণ বুঝে হালকা কিছু লাগান
- বাজারে ছেলেদের জন্য আলাদা ফেসওয়াশ আছে, দরকার সেটাই। ভালোমানের কোরিয়ান ফেসওয়াশ পেতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
আপনি যদি নিজের সমস্যার কথা কাউকে বলতে না পারেন—
আমাকে ইনবক্সে বলতে পারেন।
গোপনীয়তা থাকবে। উপকারের চেষ্টা করবো।
বই: স্কিনকেয়ার = আত্মবিশ্বাস
অধ্যায় ০৩:
ব্রণ, গন্ধ, রুক্ষতা – এগুলো আপনাকে কুৎসিত না, অযত্নবান প্রমাণ করে

